ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, অচিরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ। মিয়ানমার রোহিঙ্গা বিরোধী যে অপপ্রচার চালাচ্ছে এতে তাদের ওপর উল্টো আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৭ সালের আগস্টের শেষদিকে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সেসময় মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিলেও প্রায় দুই বছর হতে চললেও কাউকেই বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশে ফেরাতে বাংলাদেশে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। চীন, রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা তার।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমার সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ হয়েছে। উনি এই বিষয়ে যথেষ্ট উদগ্রীব। তিনি বলেছেন যে আমরা আপনাদের সাহায্য করবো। তিনি আরো বলেছেন, আমরা মনে করি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়া উচিত। সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরানো যাবে।’ রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কক্সবাজারের পাশাপাশি, রাখাইনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আসল সমস্যা তো রাখাইনে। এখানে আমরা তাদের দেখভাল করছি। আমরা তাদের বলেছি এখন সময় এসেছে আপনারা রাখাইনে যান। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেন। তারা আমাকে অঙ্গীকার করেছে তারা সেখানে যাবেন।’ রোহিঙ্গা ইস্যুর সুরাহা করতে ভারত সরকার বাংলাদেশেকে সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply